ভূপৃষ্ঠের কোনো স্বল্প পরিসর স্থানে হঠাৎ করে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বেড়ে গেলে নিম্নচাপ তৈরি হয়। ওই নিম্নচাপের চারদিকে বাতাসের চাপ অপেক্ষাকৃত বেশি থাকে। এই অবস্থায় চারদিকের উচ্চচাপযুক্ত অঞ্চল থেকে বাতাস প্রবলগতিতে কুণ্ডলাকারে পাক খেতে খেতে নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে ছুটে আসে। এই কেন্দ্রমুখী তীব্র গতিবেগ সম্পন্ন বায়ুপ্রবাহকে ঘূর্ণবাত বা ঘূর্ণিঝড় বলা হয়।
ঘূর্ণবাতের বৈশিষ্ট্য / বিশেষত্ব:
বায়ুপ্রবাহের দিক: ঘূর্ণবাতে বায়ু উত্তর গোলার্ধে বামদিকে বা ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে ডানদিকে বা ঘড়ির কাঁটার দিকে প্রবাহিত হয়।
প্রভাবিত অঞ্চল: ঘূর্ণবাত মূলত উয়মণ্ডল ও নাতিশীতোয়মণ্ডলে সংঘটিত হয়।
বায়ুর গতিবেগ: ঘূর্ণবাতে বাতাসের গতিবেগ অত্যন্ত বেশি (প্রায় ১৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টা) হয় এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া দেখা যায়।
ঘূর্ণবাতের শ্রেণিবিভাগ:
ঘূর্ণবাত দুইপ্রকার—
- ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত।
- নাতিশীতোয়মণ্ডলীয় ঘূর্ণবাত।
0 Comments: