১. সুলতান কে?
উঃ- ‘সুলতান’একটি উপাধি। তুর্কি শাসকদের অনেকেই এই উপাধি ব্যবহার করতেন। আরবি ভাষায় সুলতানি শব্দের অর্থ কর্তৃত্ব, ক্ষমতা প্রভৃতি।২. সুলতানি বলতে কী বোঝ?
উঃ- সুলতান একটি উপাধি, যা তুর্কি শাসকদের অনেকেই ব্যবহার করতেন। আরবি ভাষায় সুলতান শব্দের অর্থ কর্তৃত্ব, ক্ষমতা ইত্যাদি। যে অঞ্চলের মধ্যে সুলতানের কর্তৃত্ব চলত, তাকে বলা হত সুলতানৎ বা সুলতানি।
৩. গজনির সঙ্গে দিল্লির সব সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল কেন?
উঃ- গজনির শাসক তাজউদ্দিন ইয়ালদুজ দিল্লির ওপর নিজের অধিকার কায়েম করতে চেয়েছিলেন। এই সূত্রে কুতুবউদ্দিনের সাথে তাঁর মতবিরোধ বাধে। তাই গজনির সঙ্গে দিল্লির সব সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল।
৪. কে দাস বংশ প্রতিষ্ঠা করেন? এই বংশের নাম দাস বংশ হল কেন?
উঃ- দাস বংশ প্রতিষ্ঠা করেন কুতুবউদ্দিন আইবক। প্রথম জীবনে কুতুবউদ্দিন আইবক ও তাঁর পরবর্তী দিল্লি সুলতানির দুই বিখ্যাত শাসক ইলতুৎমিশ ও গিয়াসউদ্দিন বলবন ছিলেন ক্রীতদাস। তাই এই বংশের নাম হয় দাস বংশ। তবে তারা প্রথম জীবনে দাসত্ব করলেও পরবর্তীকালে স্বাধীন হয়ে সিংহাসনে বসেন।
৫. মহম্মদ ঘুরির চারজন অনুচরের নাম কি?
উঃ- মহম্মদ ঘুরির চারজন অনুচরের নাম তাজউদ্দিন ইয়ালদুজ, নাসিরউদ্দিন কুবাচা, বখতিয়ার খলজি এবং কুতুবউদ্দিন আইবক।
৬. বাগদাদের খলিফা কাকে ‘সুলতান-ই-আজম' উপাধি দেন?
উঃ- বাগদাদের খলিফা সুলতান ইলতুৎমিশকে ‘সুলতান-ই-আজম’ উপাধি দেন। খলিফা কর্তৃক উপাধি লাভের ফলে ইলতুৎমিশ ও দিল্লি সুলতানির মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছিল। এ ছাড়াও এর মাধ্যমে দিল্লি সুলতানির স্বাধীন সত্তা ইসলামি সমাজে বৈধতা পেয়েছিল।
৭. সুলতানদের সঙ্গে খলিফার সম্পর্ক কেমন ছিল?
উঃ- দিল্লির সুলতানদের সঙ্গে খলিফার সম্পর্ক ছিল কেবল আনুষ্ঠানিক। আসলে প্রজাদের মধ্যে নিজের কর্তৃত্ব সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য এবং সাম্রাজ্যের স্থায়িত্ব বৃদ্ধির জন্য দিল্লির সুলতানরা খলিফার অনুমোদন নিতেন। এজন্য তাঁরা খলিফার কাছে অনুমোদন প্রার্থনা করতেন এবং তাঁদের উপহার সামগ্রী পাঠাতেন।
৮. খুতবা বলতে কী বোঝ?
উঃ- 'খুতবা’ শব্দটির অর্থ ভাষণ। শুক্রবারের দুপুরের নামাজের (জুম্মার নামাজ) পর মসজিদের ইমাম খুতবা পড়ে থাকেন। খলিফাদের শাসনকালে খুতবার মধ্যে সমকালীন খলিফা ও সুলতানের নাম উল্লেখ করা হত। এর মধ্যে দিয়ে সুলতান যে নিয়ম মেনে শাসক হয়েছেন সেটা বারবার জানান দেওয়া হত।
৯. কুতুবউদ্দিন আইবক কত খ্রিস্টাব্দ থেকে কত খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন?
উঃ- কুতুবউদ্দিন আইবক ১২০৬ খ্রিস্টাব্দে দিল্লিতে সুলতানি শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১২১০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সেখানে রাজত্ব করেন।
১০. দিল্লি সুলতানির ইতিহাসে সুলতান রাজিয়ার শাসনকালের গুরুত্ব লেখো?
উঃ- ইলতুৎমিশের যোগ্যতম উত্তরাধিকারী হিসেবে দিল্লির সুলতান হন রাজিয়া।
তাঁর শাসনকালের দুটি মূল গুরুত্ব হল —
প্রথমতঃ এক নারী দিল্লির মসনদে বসেন।
দ্বিতীয়তঃ তিনি শাসক পদে বসার পর সুলতান ও তুর্কি অভিজাতদের মধ্যেকার সম্পর্ক জটিল রূপ ধারণ করে। তবে তিনি ‘নারী সুলতান’ রূপে স্বীকৃতি পান।
১১. 'বন্দেগান-ই-চিহলগানি' কে প্রবর্তন ও কে উচ্ছেদ করেন?
উঃ- 'বন্দেগান-ই-চিহলগানি' শব্দের অর্থ হল চল্লিশ জন বান্দা। 'বন্দেগান-ই-চিহলগানি' প্রথা প্রবর্তন করেন সুলতান ইলতুৎমিশ। এই প্রথার উচ্ছেদ ঘটান সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবন।
১২. কে প্রথম দক্ষিণ ভারতে সুলতানি সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটান? এই অভিযানে তাঁকে কে সাহায্য করেছিলেন?
উঃ- সুলতান আলাউদ্দিন খলজি প্রথম দক্ষিণ ভারতে সুলতানি সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটান। এই অভিযানে তাঁকে সাহায্য করেন তাঁর সেনাপতি মালিক কাফুর।
১৩. খলজি বিপ্লব কী?
উঃ- ১২৯০ খ্রিস্টাব্দে জালালউদ্দিন ফিরোজ খলজি অসুস্থ কায়কোবাদ ও তাঁর শিশুপুত্র কায়ুমার্সকে হত্যা করে দিল্লির সিংহাসনে বসেন। হিন্দুস্থানি অভিজাতদের নেতা জালালউদ্দিন সিংহাসনে বসায় ভারতে খলজি হিন্দুস্থানিদের ক্ষমতা বেড়ে যায় আর ইলবারি তুর্কিদের ক্ষমতা কমে যায়। দিল্লির ক্ষমতার এই পালাবদল খলজি বিপ্লব নামে পরিচিত।
১৪. ‘সিজদা’ ও ‘পাইবস’ বলতে কী বোঝ?
উঃ- রাজকীয় ক্ষমতা জাহির করার জন্য দিল্লির শাসক গিয়াসউদ্দিন বলবন ‘সিজদা’ ও ‘পাইবস' নামক পারসিক রীতি দুটি চালু করেছিলেন। সুলতানকে সাষ্টাঙ্গ প্রণাম করাই হল সিজদা। আর পাইবস ছিল সম্রাটের পদযুগল চুম্বন করার এক প্রথা।
১৫. উলাক ও দাওআ কী?
উঃ- ইবন বতুতার বিবরণ থেকে জানা যায় যে মহম্মদ বিন তুঘলকের সময় যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে অন্যতম দুটি ব্যবস্থা ছিল উলাক এবং দাওআ।
উলাক: এই সময়ে ঘোড়ার ডাকের যে ব্যবস্থা ছিল তাকে উলাক বলা হত। এই ব্যবস্থায় প্রতি চার মাইল অন্তর ডাকের ঘোড়া রাখা হত।
১১. 'বন্দেগান-ই-চিহলগানি' কে প্রবর্তন ও কে উচ্ছেদ করেন?
উঃ- 'বন্দেগান-ই-চিহলগানি' শব্দের অর্থ হল চল্লিশ জন বান্দা। 'বন্দেগান-ই-চিহলগানি' প্রথা প্রবর্তন করেন সুলতান ইলতুৎমিশ। এই প্রথার উচ্ছেদ ঘটান সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবন।
১২. কে প্রথম দক্ষিণ ভারতে সুলতানি সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটান? এই অভিযানে তাঁকে কে সাহায্য করেছিলেন?
উঃ- সুলতান আলাউদ্দিন খলজি প্রথম দক্ষিণ ভারতে সুলতানি সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটান। এই অভিযানে তাঁকে সাহায্য করেন তাঁর সেনাপতি মালিক কাফুর।
১৩. খলজি বিপ্লব কী?
উঃ- ১২৯০ খ্রিস্টাব্দে জালালউদ্দিন ফিরোজ খলজি অসুস্থ কায়কোবাদ ও তাঁর শিশুপুত্র কায়ুমার্সকে হত্যা করে দিল্লির সিংহাসনে বসেন। হিন্দুস্থানি অভিজাতদের নেতা জালালউদ্দিন সিংহাসনে বসায় ভারতে খলজি হিন্দুস্থানিদের ক্ষমতা বেড়ে যায় আর ইলবারি তুর্কিদের ক্ষমতা কমে যায়। দিল্লির ক্ষমতার এই পালাবদল খলজি বিপ্লব নামে পরিচিত।
১৪. ‘সিজদা’ ও ‘পাইবস’ বলতে কী বোঝ?
উঃ- রাজকীয় ক্ষমতা জাহির করার জন্য দিল্লির শাসক গিয়াসউদ্দিন বলবন ‘সিজদা’ ও ‘পাইবস' নামক পারসিক রীতি দুটি চালু করেছিলেন। সুলতানকে সাষ্টাঙ্গ প্রণাম করাই হল সিজদা। আর পাইবস ছিল সম্রাটের পদযুগল চুম্বন করার এক প্রথা।
১৫. উলাক ও দাওআ কী?
উঃ- ইবন বতুতার বিবরণ থেকে জানা যায় যে মহম্মদ বিন তুঘলকের সময় যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে অন্যতম দুটি ব্যবস্থা ছিল উলাক এবং দাওআ।
উলাক: এই সময়ে ঘোড়ার ডাকের যে ব্যবস্থা ছিল তাকে উলাক বলা হত। এই ব্যবস্থায় প্রতি চার মাইল অন্তর ডাকের ঘোড়া রাখা হত।
দাওআ: এই সময়ে পায়ে হাঁটা ডাকের যে ব্যবস্থা ছিল তাকে দাওআ বলা হত। এই ব্যবস্থায় প্রত্যেক মাইলের এক-তৃতীয়াংশে ঘন বসতির একটি গ্রাম থাকত এবং তার বাইরে তিনটি তাঁবুতে ডাকের লোকেরা প্রস্তুত থাকত।
১৬. দেবগিরিতে কে এবং কেন রাজধানী তৈরি করেন?
উঃ- দেবগিরিতে মহম্মদ বিন তুঘলক রাজধানী তৈরি করেন।
১৬. দেবগিরিতে কে এবং কেন রাজধানী তৈরি করেন?
উঃ- দেবগিরিতে মহম্মদ বিন তুঘলক রাজধানী তৈরি করেন।
দেবগিরিতে রাজধানী তৈরির কারণগুলি হল—
(১) দিল্লির অধিবাসীদের বিরোধিতা থেকে মুক্তি পাওয়া।
(২) মোঙ্গল আক্রমণ থেকে রেহাই পাওয়া।
(৩) দাক্ষিণাত্য শাসনের সুবিধা।
১৭. সুলতানি যুগের রাজবংশগুলির নাম লেখো?
উঃ- সুলতানি আমলে মোট পাঁচটি বংশ রাজত্ব করেছিল।
সেই বংশগুলি হল—
(১) দাস বংশ।
(২) খলজি বংশ।
(৩) তুঘলক বংশ।
(৪) সৈয়দ বংশ।
(৫) লোদি বংশ।
১৮. দুরবাশ কি?
উঃ- স্বাধীন শাসনের প্রতীকদণ্ড ছিল দুরবাশ দিল্লির সুলতান রাজার কাছ থেকে অর্জন করত।
১৯. আমির কাদের বলা হত?
উঃ- সুলতানি যুগে শাসনকার্যে নিযুক্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আমির বলা হত।
২০. 'বান্দা' শব্দের অর্থ কি?
উঃ- 'বান্দা' শব্দের অর্থ সেবক বা অনুগামী।
২১. খিলাত বলতে কী বোঝায়?
উঃ- খলিফার অনুমোদনপ্রাপ্ত শাসককে যে আনুষ্ঠানিক পোশাক প্রদান করা হত তা খিলাত নাম পরিচিত।
(১) দিল্লির অধিবাসীদের বিরোধিতা থেকে মুক্তি পাওয়া।
(২) মোঙ্গল আক্রমণ থেকে রেহাই পাওয়া।
(৩) দাক্ষিণাত্য শাসনের সুবিধা।
১৭. সুলতানি যুগের রাজবংশগুলির নাম লেখো?
উঃ- সুলতানি আমলে মোট পাঁচটি বংশ রাজত্ব করেছিল।
সেই বংশগুলি হল—
(১) দাস বংশ।
(২) খলজি বংশ।
(৩) তুঘলক বংশ।
(৪) সৈয়দ বংশ।
(৫) লোদি বংশ।
১৮. দুরবাশ কি?
উঃ- স্বাধীন শাসনের প্রতীকদণ্ড ছিল দুরবাশ দিল্লির সুলতান রাজার কাছ থেকে অর্জন করত।
১৯. আমির কাদের বলা হত?
উঃ- সুলতানি যুগে শাসনকার্যে নিযুক্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আমির বলা হত।
২০. 'বান্দা' শব্দের অর্থ কি?
উঃ- 'বান্দা' শব্দের অর্থ সেবক বা অনুগামী।
২১. খিলাত বলতে কী বোঝায়?
উঃ- খলিফার অনুমোদনপ্রাপ্ত শাসককে যে আনুষ্ঠানিক পোশাক প্রদান করা হত তা খিলাত নাম পরিচিত।
0 Comments: