INFO Breaking
Live
wb_sunny

Breaking News

ভিয়েনা সম্মেলন | ভিয়েনা সম্মেলনে নীতি: (Vienna Conference).

ভিয়েনা সম্মেলন | ভিয়েনা সম্মেলনে নীতি: (Vienna Conference).

নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ফ্রান্সের ক্ষমতা দখল করার পর এক বিশাল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি একের পর এক যুদ্ধে জয়লাভ করে ইউরোপের রাজনৈতিক মানচিত্র ওলোটপালট করে দিয়েছিলেন। এই পরিবর্তন ইউরোপের রাজারা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারেননি। তাই নেপোলিয়নকে লাইপজিগের যুদ্ধে পরাজিত করে। ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে তারা ইউরোপীয় রাজ্যগুলির পুনর্গঠন, পুনর্বিন্যাস ও সেখানে উদ্ভূত নানা সমস্যার সমাধানের জন্য অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনাতে সমবেত হন। একে ‘ভিয়েনা সম্মেলন’ বলা হয়।


পোপ ও তুরস্কের সুলতান ছাড়া ইউরোপের সব দেশের রাষ্ট্রনেতারা সম্মেলনে যোগ দেন। এই সম্মেলন ছিল ইউরোপ তথা বিশ্বের ইতিহাসে প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন।

ভিয়েনা সম্মেলনে নীতি:
ভিয়েনা সম্মেলনে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার পর তিনটি নীতি গ্রহণ করা হয়।
এই তিনটি নীতি হল-
  •  ন্যায্য অধিকার নীতি।
  •  ক্ষতিপূরণ নীতি।
  •  শক্তিসাম্য নীতি।

এই নীতিগুলির উপর ভিত্তি করে সম্মেলনের কার্যকলাপ পরিচালিত হয়।

ন্যায্য অধিকার নীতি:
ন্যায্য অধিকার নীতিতে বলা হয়, ফরাসি বিপ্লবের আগে যে রাজা বা রাজবংশ যে দেশে রাজত্ব করতেন, সেখানে সেই রাজার বা রাজবংশের আবার রাজত্ব করার অধিকার আছে।
এই নীতি অনুসারে—
  •  ফ্রান্সে বুরবো বংশের শাসক অষ্টাদশ লুই সিংহাসনে বসেন।
  •  স্পেন, সিসিলি ও নেপলসেও বুরবো বংশের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
  •  অস্ট্রিয়ায় হ্যাপসবার্গ বংশ তাদের রাজত্ব ফিরে পায়।
  •  হল্যান্ডে অরেঞ্জ বংশ এবং স্যাভয়, জেনোয়া, পিডমন্ট ও সার্ডিনিয়ায় স্যাভয় বংশ প্রতিষ্ঠিত হয়।

ক্ষতিপূরণ নীতি:
নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যেসব দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ভিয়েনা সম্মেলনে তারা নিজেদের ক্ষতিপূরণ করে নেওয়ার জন্য যে নীতি গ্রহণ করেছিল, তা ক্ষতিপুরণ নীতি নামে পরিচিত। যে সব দেশ নেপালিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেগুলি হল:— ইংল্যান্ড, রাশিয়া, অস্ট্রিয়া, প্রাশিয়া, সুইডেন প্রভৃতি।

শক্তিসাম্য নীতি:
ভিয়েনা সম্মেলনে গৃহীত শক্তিসাম্য নীতি বলতে বোঝায় ফ্রান্সের শক্তি খর্ব করে সমতা তৈরি করা, ফ্রান্স যাতে শক্তিশালী হয়ে ইউরোপের শান্তি বিঘ্নিত করতে না পারে তার ব্যবস্থা করা।
এই নীতি অনুসারে-

  • ফ্রান্সকে বিপ্লব পূর্ববর্তী সীমানায় ফিরিয়ে আনা হয়।
  • ফ্রান্সের সেনাবাহিনী ভেঙে দেওয়া হয়। ৫ বছরের জন্য ফ্রান্সে মিত্রপক্ষের সেনা মোতায়েন রাখার ব্যবস্থা করা হয়।
  • মিত্রপক্ষের এই সেনাবাহিনীর ব্যয়ভার ফ্রান্সকে বহন করতে হয়।
  • মিত্রপক্ষকে ৭০ কোটি ফ্রাঙ্ক ক্ষতিপূরণ দিতে ফ্লান্সকে বাধ্য করা হয়।

0 Comments: