পরিবেশ বিদ্যা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর: (Environmental science).

১. সুস্থায়ী কৃষি কাকে বলে?

উঃ- যে কৃষি ব্যবস্থায় বর্তমান প্রজন্মের চাহিদা মিটিয়ে পরিবেশের কোনো প্রকার ক্ষতি সাধন না করে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সম্পদ সংরক্ষণ করে কৃষিকাজ করা হয়, তাকে সুস্থায়ী কৃষি বলে (Sustainable Agriculture)।

২. হিউমাস কাকে বলে?
উঃ- উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবশেষ মৃত্তিকায় উপস্থিত বায়ুজীবী ও অবায়ুজীবী জীবদেহে থেকে নিঃসৃত বিভিন্ন অ্যাসিডের দ্বারা বিয়োজিত হয়ে ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়ে এক জটিল কালো বর্ণের পদার্থ সৃষ্টি করে, তাকে হিউমাস বলে (Humus)।

৩. ক্লোরোসিস কী?
উঃ- উদ্ভিদের পুরনো পাতার প্রান্ত ও ডগা ম্যাগনেসিয়ামের অভাবে হলুদ হতে থাকে একে ক্লোরোসিস বলে (Chlorosis)।

৪. ট্রাক ফার্মিং কাকে বলে?
উঃ- উদ্যান কৃষিতে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় শাক-সবজি ও ফল ফলের চাষ করা হয় এবং নিকটবর্তী মহানগরের বাজারে তা প্রেরণ করা হয়। এই উৎপাদিত কৃষি দ্রব্য ট্রাকের মাধ্যমে বাজারে বিক্রির জন্য প্রেরণ করা সুবিধাজনক হয় বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশসমূহ এই কৃষি পদ্ধতিকে ট্রাক ফার্মিং বলা হয় (Truck Farming)।

৫. শস্যাবর্তন কাকে বলে?
উঃ- কৃষি জমির উর্বরতা স্বাভাবিক রাখা ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বছরের-পর-বছর জমিতে একই ধরনের ফসল চাকা করে বছরে বিভিন্ন সময়ে পর্যায়ক্রমে সেই জমিতে বিভিন্ন ফসল উৎপাদন পদ্ধতিকে শস্যাবর্তন বলা হয় (Crop Rotation)।

৬. জীববৈচিত্র্য কাকে বলে?
উঃ- নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট অঞ্চলে জিন, প্রজাতি ও বাস্তুতন্ত্রের বৈচিত্র্য অনুযায়ী সে অঞ্চল বা স্থানে জীবের যে বৈচিত্র্য ও বৈষম্য এবং স্থান ও সময় পরিবর্তনের জীবকুলের বৈশিষ্ট্য যে পরিবর্তন ঘটে তাকে জীববৈচিত্র্য বলা হয় (Biodiversity)।

৭. জিনগত বৈচিত্র্য কাকে বলে?
উঃ- সকল উদ্ভিদ ও প্রাণী গোষ্ঠীর প্রতিটি সদস্যের জিনের মধ্যস্থিত জিনগত চরিত্র বৈশিষ্ট্য একে অপরের থেকে আলাদা। জীবগোষ্ঠীর এই জিনগত বৈশিষ্ট্যতা ও বৈচিত্র্যই হল জিনগত বৈচিত্র্য (Genetic Diversity)।

৮. প্রজাতিগত বৈচিত্র্য কাকে বলে?
উঃ- কোন অঞ্চলে বা বাস্তুতন্ত্রে যে সকল বৈচিত্র্যময় উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতি বসবাস করে তাদের সংখ্যা হল ঐ এলাকার প্রজাতিগত বৈচিত্র্য (Species Diversity)।

৯. বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য কাকে বলে?
উঃ- পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন প্রাকৃতিক পরিবেশে উদ্ভূত বিভিন্ন বাস্তুতন্ত্রে বসবাসকারী বিভিন্ন রকমের জীবের সমাহারকে জীব সম্প্রদায়ের বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য বলে (Ecosystem Diversity)।

১০. সৌর মূলধন কাকে বলে?
উঃ- সূর্য থেকে প্রাপ্ত সেই সমস্ত সম্পদ যা মানুষের বেঁচে থাকা ও জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজন, তাদের সৌর মূলধন বলা হয়। যেমন- সবুজ উদ্ভিদ সৌরশক্তি থেকে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় খাদ্য উৎপাদন করে।

১১. পার্থিব মূলধন কাকে বলে?
উঃ- পার্থিব মূলধন বলতে সেই সকল সম্পদকে বোঝায় যাদের উৎস হল পৃথিবীর বায়ু জল তৃণভূমি বনভূমি বন্যপ্রাণী জলাভূমি উর্বর মৃত্তিকা খনিজ সম্পদ ইত্যাদি। মানুষ এগুলি অর্থ বা মূলধনের মতো ব্যবহার করে।

১২. জিন সমাহার কাকে বলে?
উঃ- একটি নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট প্রজাতির সমস্ত জিনের সমাহারকে জিন সমাহার বলা হয়।

১৩. ডিডিটি কী?
উঃ- ডিডিটি হল এক প্রকার কীটনাশক ও আগাছানাশক পেস্টিসাইড। এটি একটি জৈব অভঙ্গুর দূষক যা মানুষ ও প্রাণীদেহে জীব বিবর্ধন ঘটায় (DDT)।

১৪. প্রবাল প্রাচীর কাকে বলে?
উঃ- অগভীর সমুদ্রে মৃত প্রবাল কীটের দেহ মিশ্রিত ক্যালসিয়াম কার্বনেটের ক্রমাগত সঞ্চয়ের ফলে যে পাথরের মতো শক্ত গঠন বিশিষ্ট সুদীর্ঘ প্রাচীর তৈরি হয়, তাকে প্রবাল প্রাচীর বলে (Coral Reef)।

১৫. জাতীয় বন্যপ্রাণী কার্যক্রম পরিকল্পনার মুখ্য উদ্দেশ্য কী?
উঃ- জাতীয় বন্যপ্রাণী কার্যক্রম পরিকল্পনার মুখ্য উদ্দেশ্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, সংরক্ষিত এলাকাগুলির সুরক্ষা এবং বর্তমান সংরক্ষিত এলাকাগুলি পর্যালোচনা করা এবং দেশে কোন জৈব-ভৌগলিক অঞ্চল এই ব্যবস্থার বাইরে থাকলে তা চিহ্নিত করা।

১৬. পানীয় জলের অস্বচ্ছতা কী?
উঃ- খালি চোখে দেখা যায় না এমন সমস্ত দ্রবীভূত পদার্থের মিশ্রণে কারণে পানীয় জল ঘোলাটে হলে, অস্বচ্ছ হয়ে যায়। অস্বচ্ছ জল পানের অযোগ্য।

১৭. ম্যানগ্রোভ কাকে বলে?
উঃ- নদী মোহনায় সমুদ্র উপকূলে প্রচুর পরিমাণে অজৈব লবণ (যেমন- সোডিয়াম ক্লোরাইড, ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড, ম্যাগনেসিয়াম সালফেট) যুক্ত লবণাক্ত মাটিতে যে উদ্ভিদ জন্মায় ও বংশ বিস্তারে সক্ষম তাদের ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ বলে (Mangrove)।

১৮. ভারতের কোথায় কোথায় ম্যানগ্রোভ অরণ্য দেখা যায়?
উঃ- ভারতের ম্যানগ্রোভ অরণ্যের বিস্তার খুবই বেশি। পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গা বদ্বীপ সুন্দরবনে, ওড়িশার মহানদীর বদ্বীপ, অন্ধ্রপ্রদেশের গোদাবরী ও কৃষ্ণা নদীর বদ্বীপ, তামিলনাড়ুর কাবেরী নদীর বদ্বীপ, কেরালার কয়াল অঞ্চলগুলি ও গুজরাটের উপকূল অংশে ম্যানগ্রোভ অরণ্য দেখা যায়।

১৯. সুস্থায়ী অর্থনীতি কাকে বলে?
উঃ- ভোগবাদী মনোভাব বন্ধ করে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি গ্রহণ ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে উৎপাদন ব্যবস্থা পরিচালনা করাকে সুস্থায়ী অর্থনীতি বলে। এর ফলে কোন জায়গায় প্রাকৃতিক সম্পদের ভিত্তি বজায় থাকে (Sustainable Economy)।

২০. সুস্থায়ী সমাজ কাকে বলে?
উঃ- সম্পদের স্থিতিশীল ভোগের মাধ্যমে পরিবেশে সম্পদের ভারসাম্য রক্ষা করে যে সমাজ নাগরিকের সমান অধিকার, স্বাধীনতা, সুস্বাস্থ্য ও উন্নত জীবনযাত্রার মানকে সুনিশ্চিত করে, তাকে সুস্থায়ী সমাজ বলে।

২১. ইন সিটু সংরক্ষণ কাকে বলে?
উঃ- অবলুপ্তপ্রায় জীবকুলকে তার স্বাভাবিক বাসস্থানের মধ্যে সংরক্ষণ করা হলে তাকে ইনসিটু সংরক্ষণ বলা হয়। জাতীয় উদ্যান, বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য, সংরক্ষিত জীবমণ্ডল প্রভৃতি পদ্ধতির মাধ্যমে এই প্রকাশ সংরক্ষণ কার্যকরী হয় (In Situ Conservation)।

২২. এক্স সিটু সংরক্ষণ কাকে বলে?
উঃ- লুপ্তপ্রায় বা সংকটময় জীব প্রজাতিদের বাঁচানোর উদ্দেশ্যে প্রজাতির স্বাভাবিক বাসস্থানের বাইরে অন্য কোনো অনুকূল পরিবেশে সংরক্ষণ হল এক্স সিটু সংরক্ষণ। চিড়িয়াখানা, বোটানিক্যাল গার্ডেন প্রভৃতির মাধ্যমে এক্স সিটু সংরক্ষণ করা হয় (Ex Situ Conservation)।

২৩. ইন ভিট্রো সংরক্ষণ কাকে বলে?
উঃ- বৈজ্ঞানিকভাবে অতি শীতল অবস্থায় তরল নাইট্রোজেনে কিছু বিলুপ্ত প্রায় শস্য বীজ, রেণু, শুক্রাণু, উদ্ভিদ ও উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশ সংরক্ষণ ও প্রয়োজনে জীবের ওই অংশের সাহায্যে পুনরায় জীব সৃষ্টির পদ্ধতিকে ইন ভিট্রো বা ক্রায়ো সংরক্ষণ বলে (In Vitro Conservation)।

২৪. পরিবেশের বহন ক্ষমতা কাকে বলে?
উঃ- পরিবেশ নিজের ভারসাম্য বজায় রেখে সর্বোচ্চ যত প্রাণী ও উদ্ভিদকে পরিবেশগত দিক দিয়ে সাহায্য করতে পারে, তাকে সেই জায়গার পরিবেশের বহন ক্ষমতা বলে।

২৫. সম্পদের বহন ক্ষমতা কাকে বলে?
উঃ- নির্দিষ্ট কোন স্থানে উপস্থিত সম্পদ অনুযায়ী সর্বাধিক যে পরিমাণ জনসংখ্যা প্রতিপালন করা যেতে পারে তাকে সম্পদের ধারণক্ষমতা বা বহন ক্ষমতা বলে।

২৬. সজীব বেড়া কাকে বলে?
উঃ- তৃণভোজী প্রাণী অর্থাৎ গরু-ছাগলের খাওয়ার অনুপযোগী সারি সারি গাছের প্রতিরোধ তৈরি করে শস্যক্ষেত্র রক্ষার জন্য যে গাছ বেড়া তৈরি করা হয়, তাকে সজীব বেড়া বলে (Living Fence)।

২৭. জৈব পতঙ্গনাশক কাকে বলে?
উঃ- যেসকল অনুজীবদের সাহায্যে শস্যক্ষেত্র রক্ষায় পতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ করা হয়, তাদের জৈব পতঙ্গনাশক বলে।

২৮. এজেন্ডা ২১ কী?
উঃ- ব্রাজিলের রিও-ডি-জেনিরো শহরে ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে পরিবেশ সংক্রান্ত বসুন্ধরা সম্মেলনে স্থিতিশীল উন্নয়নের উদ্দেশ্য একবিংশ শতকের জন্য করণীয় যে ২১ দফা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়, তাকে এজেন্ডা ২১ বলে।

২৯. সুস্থায়ী উন্নয়নের মূল উদ্দেশ্য কী?
উঃ- সুস্থায়ী উন্নয়নের মূল উদ্দেশ্য হল- ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সম্পদের ভাণ্ডার অটুট রেখে বর্তমান প্রজন্মের চাহিদা পূরণ করা।

৩০. 3 R কী?
উঃ- সম্পদ সংরক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হল 3 R. এই 3R গুলি হল -
Reuse :- বর্জ্যকে ব্যবহারের পর পরিবর্তিত রূপে পুনরায় ব্যবহার করা।
Recycle :- বর্জ্যকে পুনরায় রূপান্তরের মাধ্যমে ব্যবহারযোগ্য করা।
Reduce :- বর্জ্যের উৎপাদন ও ভোগের পরিমাণ কমানো।

৩১. গ্রিন মাফলার কাকে বলে?
উঃ- অতিরিক্ত শব্দদূষণকারী রাস্তায় শব্দদূষণের মাত্রা কমানোর জন্য রাস্তাগুলোর পাশে বৃক্ষরোপণ করা হয়, যা দূষণের মাত্রা অনেকাংশে কমিয়ে দেয়, একেই গ্রিন মাফলার বলা হয়।

৩২. ফিউমিগেশন কাকে বলে?
উঃ- কোন কোন পেস্টিসাইডের ব্যবহারের ক্ষেত্রে ধোঁয়া বা বাষ্পের সাহায্যে পেস্ট দমন করা হয়, এই পদ্ধতিকে ফিউমিগেশন বলে (Fumigation)।

৩৩. অভয়ারণ্য কাকে বলে?
উঃ- প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ যেসকল অপেক্ষাকৃত ছোট সংরক্ষিত বনভূমিতে বৈজ্ঞানিক গবেষণা, শিক্ষা, বিনোদন ও কিছু বিশেষ ধরনের উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতির সংরক্ষণ করা হয়, তাকে অভয়ারণ্য বলে (Wildlife Sanctuary)।

৩৪. জাতীয় উদ্যান কাকে বলে?
উঃ- জীববৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণা, শিক্ষা ও বিনোদনের উদ্দেশ্যে গঠিত বিশাল এলাকা জুড়ে প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ অঞ্চলকে জাতীয় উদ্যান বলে (National Park)।

৩৫. সংরক্ষিত জীবমণ্ডল কাকে বলে?
উঃ- অন্তর্দেশীয় ও উপকূলীয় অঞ্চলে বাস্তুতন্ত্রকেন্দ্রিক এবং সমগ্র বাস্তুতন্ত্রের সকল জীব প্রজাতিকে যে অঞ্চলে সংরক্ষণ করা হয়, তাকে সংরক্ষিত জীবমণ্ডল বলে (Biosphere Reserve)।

৩৬. গ্রিন ট্রাইবুনাল কাকে বলে?
উঃ- বিভিন্ন কারণে স্থগিত থাকা পরিবেশ সংক্রান্ত বিচাৰ্য বিষয়গুলিকে সমর্থনযোগ্য সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে দ্রুত নিষ্পত্তির দিকে লক্ষ রেখে ভারতীয় পার্লামেন্ট ২০১০ খ্রিস্টাব্দে বিশেষ বিচারসভা গঠন করে, একেই গ্রিন ট্রাইবুনাল বলে।

৩৭. বায়োপ্রসপেকটিং কাকে বলে?
উঃ- জীববৈচিত্র্য ষকে কাজে লাগিয়ে ঔষধ শিল্পে প্রয়োজনীয় উদ্ভিদ, ছত্রাক ও বিভিন্ন ভেষজ উপকরণের শনাক্তকরণ পদ্ধতিকে বায়োপ্রসপেকটিং বলে (Bioprospecting)।

৩৮. ডেড হার্ট কাকে বলে?
উঃ- মাজরা পোকা লার্ভা দশায় ধান গাছের কান্ডকে আক্রমণ করে এবং কান্ড ছিদ্র করে তার মধ্যে প্রবেশ করে নরম কলা ভক্ষণ করে। এর ফলে গাছ শুকিয়ে যায়, একে ডেড হার্ট বলে।

৩৯. লিচেট কাকে বলে?
উঃ- ভরাটকরন বা ল্যান্ডফিল করা বর্জ্য পদার্থ বৃষ্টির জলে ধুয়ে গেলে সেই বর্জ্য ধোয়া বিষাক্ত প্রকৃতির ময়লা জলকে লিচেট বলে।

৪০. ল্যান্ডফিল কাকে বলে?
উঃ- কোন নিচু জায়গা বর্জ্য পদার্থ দ্বারা ভরাট করার পদ্ধতিকে ভরাটকরন বা ল্যান্ডফিল বলে (Landfill)।