![চার্লস উডের প্রতিবেদন (Wood's Despatch).](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjo364MPeKvjyy3eZdpA_pYdneufQ_tbUdhX2mNIW_RH7lIZUWN1Bk9gIKnEY9nUO9z96s7L7bfpkvFkFa1ouoZKo6KKXKN1IZNVM_msFBUx6W2EkmO_sgZPxo3NH73m9rcvQS9-SLQxvY5Fh3D48IEsa_MaHoH7keSzAIyVMF71QOlu2TP0DiJTfjp/w700/AddText_02-17-08.42.29.jpg)
বোর্ড অফ কন্ট্রোলের সভাপতি চার্লস উড ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের জন্য ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দের ১৯ জুলাই একটি নির্দেশনামা প্রকাশ করেন। এই নির্দেশনামা 'চার্লস উডের প্রতিবেদন' (Wood's Despatch) নামে খ্যাত।
চার্লস উডের প্রতিবেদনের সুপারিশ:উডের নির্দেশনামা বা প্রতিবেদনের সুপারিশগুলি হল—
- শিক্ষার প্রসারের জন্য স্বতন্ত্র শিক্ষাবিভাগ গঠন করা।
- কলকাতা, বোম্বাই ও মাদ্রাজে একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা।
- সুদক্ষ শিক্ষক তৈরির জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ বা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ স্থাপন করা।
- দেশীয় ভাষার মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষা প্রদান করা।
- নারীশিক্ষার প্রসার ঘটানো।
চার্লস উডের প্রতিবেদনের ফলাফল:
চার্লস উডের নির্দেশনামার ফলে—
- ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে বড়লাট লর্ড ডালহৌসি বাংলা, বোম্বাই, পাঞ্জাব প্রভৃতি প্রদেশে শিক্ষাদপ্তর প্রতিষ্ঠা করেন।
- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা, বোম্বাই ও মাদ্রাজে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
পরিশেষে বলা যায়, ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারের ইতিহাসে উডের প্রতিবেদনের ফলে ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে সারা ভারতে সরকারি বিদ্যালয়ের সংখ্যা হয় ১৩৬৩ টি, যা ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দে ছিল মাত্র ১৬৯ টি। এই সময়ে বেসরকারি উদ্যোগেও বহুবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
উডের প্রতিবেদনের গুরুত্ব:
এ পর্যন্ত ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার গতি ছিল অত্যন্ত ধীর। উডের রিপোর্টের ফলে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বহু স্কুল, কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। কলকাতা, বোম্বাই ও মাদ্রাজে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ভারতীয় শিক্ষার ইতিহাসে এটি ছিল উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এইজন্য উড-এর নির্দেশনামাকে 'শিক্ষার মহাসনদ' বা 'ম্যাগনাকার্টা’ বলা হয়।
0 Comments: