INFO Breaking
Live
wb_sunny

Breaking News

ভারতের নির্বাচন কমিশন:

ভারতের নির্বাচন কমিশন:


১৯৫০ সালের ২৫ শে জানুয়ারী নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়। সেজন্যে ২০১১ সাল থেকে ২৫ শে জানুয়ারী 'National Voter's Day' পালিত হয়।

নির্বাচন কমিশনের গঠন:
ভারতের সংবিধানে ৩২৪ নং ধারায় নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন গঠনের সময় একজন কমিশনার নিয়ে গঠিত হয়েছিল। পরবর্তীকালে একজন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও দুজন নির্বাচন কমিশনার কে নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই তিনজনই প্রত্যেকটি সমান ক্ষমতার অধিকারী।

নির্বাচন কমিশনের নিয়োগ:
প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি। অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পরামর্শ নেন।

নির্বাচন কমিশনের কার্যকালের মেয়াদ:
৬ বছর অথবা বয়স ৬৫ বছর পর্যন্ত, যেটি আগে হবে। তাঁরা পুনরায় মনোনীত হতে পারেন না এবং অবসর গ্রহণের পর কোনো লাভজনক পদে আসীন থাকতে পারবেন না। সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতিরা যেভাবে পদচ্যুত হন, নির্বাচন কমিশনাররাও ঐ একই পদ্ধতিতে অপসৃত হতে পারেন। ৩২৫ নং ধারা অনুসারে ধর্ম, জাতি, বর্ণ ও স্ত্রী-পুরুষ বিচারে কোনো ব্যক্তির নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যায় না।

নির্বাচন কমিশনের কার্যাবলী:
  • ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা। (Preparation of electoral rolls & keeping voters list updated).
  • নির্বাচনী আচরণ বিধি তৈরি করা। (Preparation of code of conduct for all political parties).
  • নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলের প্রতীক নির্ণয় করা। (Recognition of various political parties & allotment of election symbols).
  • নির্বাচন পরিচালনার জন্য অফিসার নিয়োগ করা। (Appointment of election officers to look into disputes concerning election arrangements).
  • প্রার্থী কর্তৃক দাখিল করা নির্বাচনী খরচের রিটার্ন পরীক্ষা করা। (To examine the returns of elections expenses filed by the candidate).

প্রত্যেক সাধারণ নির্বাচন ও উপনির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য করার জন্য রাষ্ট্রপতি আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনার (Regional Election Commissioner) নিযুক্ত করতে পারেন। এদের নিয়োগের সময় রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করতে হয় [৩২৪(৪)  নং ধারা]

নির্বাচন কমিশনের আঞ্চলিক বিভাগ:
নির্বাচন কমিশনের ৬টি আঞ্চলিক বিভাগ রয়েছে। এই ৬টি আঞ্চলিক অঞ্চল হল — পূর্বাঞ্চল, পশ্চিমাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চল। আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করা হয় নির্বাচনের ৩ মাস আগে। নির্বাচনের পর ৩ মাস পর্যন্ত এরা ক্ষমতাসীন থাকেন। অর্থাৎ এঁদের কার্যকালের মেয়াদ হল ৬ মাস।

নির্বাচন কমিশনারদের পদচ্যুতি:
কেবলমাত্র সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতিদের অপসারণের পদ্ধতিতেই মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে তাঁর পদ থেকে অপসারিত করা যায় [৩২৪(৫) নং ধারা]। প্রমাণিত অসামর্থ্য ও অসদাচরণের অভিযোগক্রমে রাষ্ট্রপতি তাঁকে পদচ্যুত করতে পারেন। তবে পার্লামেন্টের উভয়কক্ষের অধিকাংশ এবং উপস্থিত ও ভোটদানকারী সদস্যদের দুই তৃতীয়াংশের সমর্থনে প্রস্তাবটি গৃহীত হতে হবে।

0 Comments: