জৈন ধর্মে বিভাজনের প্রধান কারণ ছিল ধর্মীয় ও সামাজিক মতভেদের পাশাপাশি আচার-আচরণ এবং জীবনযাত্রার পার্থক্য। জৈন ধর্ম মূলত দুটি প্রধান সম্প্রদায়ে বিভক্ত হয়ে যায়:
শ্বেতাম্বর সম্প্রদায়:
- 'শ্বেতাম্বর' শব্দের অর্থ 'সাদা পোশাক পরিধানকারী।'
- এই সম্প্রদায়ের অনুসারীরা বিশ্বাস করেন যে জৈন সন্ন্যাসীরা সাদা পোশাক পরতে পারেন।
- তারা নারীদেরও মোক্ষ (মুক্তি) অর্জনের যোগ্য মনে করেন।
- শ্বেতাম্বর সম্প্রদায় সাধারণত তুলনামূলকভাবে সহজ জীবনযাত্রার পক্ষে ছিল।
দিগম্বর সম্প্রদায়:
- 'দিগম্বর' শব্দের অর্থ 'আকাশ বস্ত্র পরিধানকারী' অর্থাৎ নগ্ন থাকা।
- দিগম্বর সম্প্রদায়ের মতে, প্রকৃত মোক্ষ অর্জনের জন্য জৈন সন্ন্যাসীদের সম্পূর্ণ নগ্ন থাকতে হবে, যা আত্মসংযমের চূড়ান্ত প্রতীক।
- তারা মনে করেন যে নারীরা মোক্ষ অর্জন করতে পারে না এবং পুনর্জন্মের পর পুরুষ হয়ে মোক্ষ লাভ করতে হবে।
শ্বেতাম্বর ও দিগম্বরের বিভাজনের কারণসমূহ:
পোশাকের পার্থক্য: দিগম্বররা নগ্নতাকে আত্মসংযম ও পরিশুদ্ধতার প্রতীক হিসেবে দেখলেও শ্বেতাম্বররা তা গ্রহণ করেনি।
আচারগত পার্থক্য: উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের নিয়মে মতভেদ ছিল।
নারীর মোক্ষ অর্জন: নারীদের মোক্ষ অর্জন নিয়ে মতপার্থক্য ছিল।
সমাজিক ও ভৌগোলিক পার্থক্য: বিভিন্ন অঞ্চলে ধর্মের অনুশীলনের বৈচিত্র্যের কারণে মতভেদ বৃদ্ধি পায়।
ধর্মীয় গ্রন্থের ভিন্ন ব্যাখ্যা: জৈন ধর্মগ্রন্থগুলোর ভাষ্য ও ব্যাখ্যায় পার্থক্য ছিল।
আচারগত পার্থক্য: উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের নিয়মে মতভেদ ছিল।
নারীর মোক্ষ অর্জন: নারীদের মোক্ষ অর্জন নিয়ে মতপার্থক্য ছিল।
সমাজিক ও ভৌগোলিক পার্থক্য: বিভিন্ন অঞ্চলে ধর্মের অনুশীলনের বৈচিত্র্যের কারণে মতভেদ বৃদ্ধি পায়।
ধর্মীয় গ্রন্থের ভিন্ন ব্যাখ্যা: জৈন ধর্মগ্রন্থগুলোর ভাষ্য ও ব্যাখ্যায় পার্থক্য ছিল।
এই মতপার্থক্যের কারণে খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতাব্দী থেকে ১ম শতাব্দীর মধ্যে জৈন ধর্ম শ্বেতাম্বর ও দিগম্বর সম্প্রদায়ে বিভক্ত হয়ে যায়।
0 Comments: